বারো ঘর এক উঠোন
জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীএক রুচি যা আশঙ্কা করছিল। ‘সেলাই-কল বিক্রি করা ছাড়া আমি আর উপায় দেখছি না।' বাইরে থেকে ঘুরে এসে গায়ের জামা খুলতে খুলতে শিবনাথ বলল, ‘সেলাইর মেশিন বড়, না অপমান বড়।' ‘কেউ দিলে না, আর পঞ্চাশটা টাকা দিতে পারে এমন একজন বন্ধু নেই তোমার কলকাতা শহরে!' রুচি অবাক । “ছিল, যবে দি গ্রেট হিমালয়ান ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ছিলাম, রুচি! তা অতবড় আটতলা বাড়ির ব্যাঙ্কটাই যখন ডুবল, লোকের চোখে হারিয়ে গেল, আমি মাত্র দু’পদ দু’হাতে ও একটি ক্ষুদ্র মস্তকবিশিষ্ট মানুষ হয়ে কি করে আর বন্ধুদের কাছে আদরের ‘শিবু' বলে অনন্তকাল পরিচিত থাকব আশা কর। ক'দিন আর ধামাচাপা দিয়ে রাখা যায়। মুখে বিড়ি দেখেই অতনু সেদিন ধরে ফেলল আমি ডুবেছি, তা ছাড়া ডুববার সময় কেউ কেউ টাকার থলে বেঁধে ডোবে বলে যে একটা কানা-ঘুষা রকমের কথা আছে, আমি তার ধারে কাছে দিয়েও নেই! অতনু স্রেফ ‘না’ করে বসল, তার টানাটানি যাচ্ছে, এখন কাউকে ধার কর্জ দিতে পারছে না।' রুচি চুপ ক'রে রইল।